
ইফতি নামের শিশুকে শিবিরের গুলিতে প্রাণ হারানো খবরটি মিথ্যা, ভারতীয় শিশুর ছবি ব্যবহার
ইফতি নামের শিশুকে শিবিরের গুলিতে প্রাণ হারানো খবরটি মিথ্যা, ভারতীয় শিশুর ছবি ব্যবহার
দাবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ফটোকার্ডে দাবি করা হচ্ছে, "ইফতি" নামের এক শিশু শিবিরের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ফটোকার্ডে দাবি করা হচ্ছে, "ইফতি" নামের এক শিশু শিবিরের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।
তবে খোঁজ টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্যবহার করা ছবির শিশুটি আসলে ভারতের মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, যে আত্মহত্যা করেছিলো ভিন্ন কারণে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত কন্টেন্ট
বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে এই ছবিটি দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ:
খোঁজ টিমের অনুসন্ধান
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুর মৃত্যুর কোনো প্রমাণ নেই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে শিশু নিহত হওয়ার মতো কোনো তথ্য বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেনি। শুধুমাত্র দৈনিক দিনপত্র
(লিংক)
এবং মুক্তিবার্তা৭১
(লিংক)
নামে কিছু অবিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে এই খবর পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ফেসবুকে ফটোকার্ড তৈরি ও প্রচার শুরু হয়।
শিশুটির ছবির প্রকৃত উৎস
দুই ওয়েবসাইটেই একই শিশুর ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। ছবিটি খোঁজের নিজস্ব রিভার্স ইমেজ ফিচার সার্চের মাধ্যমে পাওয়া গেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV
(লিংক)
এবং NewsKarnataka
(লিংক)
– এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে। উভয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, অথর্ব গোপাল তায়দে, বয়স ১৬, ভারতের মহারাষ্ট্রে বাস করত। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় ক্ষোভে সে পাহাড় থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে। অথর্ব পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আরও প্রতিবেদন
এই ঘটনার খবর অন্যান্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে:
উপসংহার
সমস্ত প্রমাণ থেকে স্পষ্ট যে, ভারতের এক কিশোরের আত্মহত্যার ছবি ব্যবহার করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের সঙ্গে মিথ্যাভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অতএব, খোঁজ টিম এই দাবিকে "ভুয়া" হিসেবে চিহ্নিত করছে।
দাবির সারাংশ
দাবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের গুলিতে "ইফতি" নামের এক শিশু নিহত।
দাবিদার: ফেসবুক ব্যবহারকারী
রেটিং: মিথ্যা